ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম | ক্যাপসিকাম দিয়ে রেসিপি | ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা

 লাল, হলুদ বা সবুজ ক্যাপসিকামকে বেল পেপারও বলা হয়। পুষ্টিগুণে ভরপুর লাল, সবুজ ও হলুদ ক্যাপসিকাম, কাঁচা খেলেই উপকার বেশি ক্যাপসিকামের। উচ্চতাপে বেশিক্ষণ রান্না করলে নষ্ট হয়ে যায় এর পুষ্টিগুণ। অলিভ অয়েলে হালকা ভেজে খেতে পারেন বেল পেপার। জেনে নিন ক্যাপসিকামের উপকারিতা সম্পর্কে। চাইলে সালাদে মিশিয়েও খাওয়া যায়।


ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা


সবুজ ক্যাপসিকাম খাওয়ার ইপকারিতা বলে সেস করার মতন না। এ ক্যাপসিকামে ক্যাপসাইসিনস নামক উপাদান ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। সবুজ ক্যাপসিকাম শরীরের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে।  এটি মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে।

ক্যাপসিকাম দিয়ে রেসিপি


ক্যাপসিকাম দিয়ে অনে কিছু রান্না করা যায়। নিচে ক্যাপসিকাম রান্না রেসিপি দেওয়া হলো।

ক্যাপসিকামগুলি খুব ভালো করে ধুয়ে প্রত্যেকটি অর্ধেক করে কেটে নিন। ভিতরের বীজের অংশ কেটে ফেলে দিন। ক্যাপসিকামের ভিতরে সামান্য তেল মাখিয়ে নিন। পেঁয়াজ খুব ছোটো করে কুঁচিয়ে নিন। বোঁটাটি ফেলবেন না।

একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে প্রথমে পেঁয়াজ দিয়ে সঁতে করুন। তাতে দিন রসুন বাটা। এবার এতে এক এক করে গ্রেট করা গাজর, সিদ্ধ করা কর্নের দানা এবং কড়াইশুঁটি নুন দিয়ে খুব ভালো করে ভাজতে থাকুন। সবজিগুলি সিদ্ধ হয়ে গেলে তাতে রেড চিলি সস দিন। ঝাল খেতে ভালোবাসলে শেজুয়ান সস্-ও দিতে পারেন। ভালো করে নাড়াচাড়া করে তাতে দিন ছানাগুলি। খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। চাইলে অল্প চিনি দিতে পারে। স্টাফ তৈরি হয়ে গেলে চামচে করে অর্ধেক করা ক্যাপসিকামে সেগুলি ভরে ফেলুন। পুর যত বেশি হবে ততই খেতে ভালো লাগবে।

এবার প্যান গরম করে ক্যাপসিকামগুলি একে একে বসিয়ে দিন। পুরের দিকটি উপরে থাকবে আর ক্যাপসিকামের গায়ের দিকটা তেলের উপর ভাজা হবে। আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। মিনিট পাঁচেক পর ঢাকনা খুলে ক্যাপসিকামের পুরের উপরের অংশে ছড়িয়ে দিন গ্রেট করা চিজ। ফের ঢাকনা বন্ধ করে দিন। খেয়াল রাখবেন ক্যাপসিকাম যেন পুড়ে না যায়। ক্যাপসিকাম ভালোমতো সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। সার্ভ করুন গরম গরম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ