ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি |
ইসলামী ব্যংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২২। বাংলাদেশের অনেকগুলো ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ব্যাংক হচ্ছে ইসলামি ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি খুবই সহজ। এদেশের প্রতিটি ব্যাংক নাগরিকদের বিভিন্ন প্রকার লোন সুবিধা দিয়ে থাকে ইসলামি ব্যাংকও ব্যতিক্রম নয়। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশের একমাত্র হালাল ও ইসলামী শরিয়া ব্যাংক। তবে ইসলামী ব্যাংক নিয়ে অনেকের কাছে অভিযোগ রয়েছে,ইসলামী ব্যাংক তাদের প্রতারনা করেছে,হালাল নাম দিয়ে তারা সুদ গ্রহন করে। জানা থাকা দরকার বিশ্বের সবগুলো ব্যাংক সুদের উপর নির্ভরশীল। সুদ ছাড়া প্রতিটি ব্যাংক অচল। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নিবেন, সুদ তো দিতেই হবে। ইসলামী ব্যাংক এটাকে সরাসরি লোন হিসাবে বিবেচিত করেনা,এই লোন সুবিধাকে তারা ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ বলে থাকে। অন্যান্য ব্যাংকের মত ইসলামী ব্যাংকও প্রবাসীদের লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হলো।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
• প্রবাসী বাংলাদেশী উদ্যোক্তা বিনিয়োগ প্রকল্প কি কি উদ্দেশ্য নিয়ে ইসলামী ব্যাংক এ লোন দিয়ে থাকে। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো।
• ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যাক্তা( এসএমই) বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে।
• দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রবাসী উন্নয়নকে উৎসাহিত করা/দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা
• প্রবাসীদের (NRBs) বিনিয়োগ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং IBBL এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আদান প্রদান কার।
• উদ্যোক্তা উন্নয়ন তৈরি করা
• ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রদানে উৎসাহিত করা এবং অর্থ পাচার বন্ধ করা।
• সকল প্রবাসীর ও সন্তানদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
ইসলামী ব্যাংক যে সকল খাতে লোন দেয়?
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ইসলামী শরিয়া মোতাবেক যে সকল খাতে লোন বা বিনিযোগ দিয়ে থাকে। ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি খুবই সহজ। নিম্নে আলোচনা করা হলো
• ডাক্তার লোন স্কিম (ISD)
• মহিলা উদ্যোক্তা লোন স্কিম (WEIS)
• মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লোন স্কিম (MIIS)
• উদ্যোক্তা লোন স্কিম (NEIS)
• কৃষি বাস্তবায়ন লোন স্কিম (AIIS)
• ছোট ব্যবসা লোন স্কিম (SBIS)
• রিয়েল এস্টেট লোন প্রোগ্রাম (REIP)
• গাড়ী লোন স্কিম (CIS)
• ট্রান্সপোর্ট লোন স্কিম (TIS)
• রিয়েল এস্টেট লোন (বাণিজ্যিক ও কার্যকরী মূলধন)
• হাউস হোল্ড লোন স্কিম
• ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কারা পাবেন ?
যেহেতু এটি প্রবাসী লোন, তাই বাংলাদেশের যে কনো নাগরিক যারা দীর্ঘদিন বিদেশে বসবাস করেন তারাই এ লোন নিতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর জন্য আপনি যে দেশে বসবাস করেন তার সে দেশের ভিসা ও পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনি যে কোম্পানীতে চাকরি করেন সে কোম্পানীর বেতন রশিদ,নিয়োগ পত্রসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য ডুকুমেন্ট থাকতে হবে। আবার যে সকল প্রবাসী ইসলামী ব্যাংকের সাথে টাকা লেনদেন করে তাদের জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার দেয় । এই লোন পাওয়ার জন্য ২ জন আপনার আত্মীয় গ্যারান্টার থাকতে হবে এবং তাদের আর্থিকভাবে স্বাভলম্বী হতে হবে। এই ছিলো ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতির নিয়ম।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর বিনিয়োগের পদ্ধতি
আগেই বলেছি যে, ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি খুবই সহজ। নিম্নে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর বিনিয়োগ পদ্ধতি দেওয়া হলো।
১. মেয়াদী বিনিয়োগ: HPSM
২. বাণিজ্যিক অর্থায়ন:
৩. কাজের মূলধন: বাই
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর বিনিয়োগের সময়কাল
আমরা খুব সহজে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি জেনে, লোন নিয়ে সর্বোচ্চ 10 বছর বিনিয়োগ মেয়াদ কাল। যেমন-
• বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ কোটি
• ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল এবং ট্রেড ফাইন্যান্সিং: সর্বোচ্চ ১ (এক) বছর
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে ?
প্রবাসী লোন পেতে হলে আপনাকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এর যে কনো শাখা থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সঠিক নিয়মে আবেদনপত্রটি পূরন করে প্রয়োজনী কাগজপত্র জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে ফোন করতে পারেন, ইসলামী ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বার হচ্ছে ১৬২৫৯ বা ০৯৬১১০১৬২৫৯ ।
0 মন্তব্যসমূহ